Sunday, February 10, 2019

thumbnail

গোপন প্রেম-বিয়েতে বেপরোয়া নায়িকারা - বিনোদন জগৎ - Entertainment World

গোপন প্রেম-বিয়েতে বেপরোয়া নায়িকারা
চলচ্চিত্র জগতে নায়িকাদের গোপন প্রেম-বিয়ে নতুন কিছু নয়। কিন্তু নব্বই দশক থেকে এ প্রবণতা যেন বেড়েছে। এ সময়ে নায়িকারা অভিনয়ে এসে প্রেম-বিয়েতে জড়িয়ে শুরুতেই হারিয়ে যাচ্ছেন কিংবা দর্শক গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছেন। ১৯৯৩ সালে চলচ্চিত্রে আসেন শাবনূর। শুরুতেই চিত্রনির্মাতা এহতেশামকে জড়িয়ে তার সম্পর্কের খবর চাউর হয়। এর পর একে একে নায়ক সাবি্বর, সালমান শাহ, রিয়াজ, চীনা নাগরিক মাইকেল চ্যাং এবং সবশেষে নায়ক অনিকের সঙ্গে তার গোপন প্রেমের কথা ফাঁস হয়। যদিও বার বার এ খবরকে অস্বীকার করেছেন এ নায়িকা। শেষ পর্যন্ত সন্তান সম্ভবা হয়ে সম্প্রতি নিজেই স্বীকার করলেন বিবাহিত যুবক অনিকের সঙ্গে তার গোপন প্রেম-বিয়ের কথা।

এদিকে ১৯৯৬ সালে ঢালিউডে পপির আগমন। শুরুতেই প্রেমে জড়িয়ে পড়েন নায়ক শাকিল খানের সঙ্গে। এ প্রেম গোপন বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু পপির মা এ বিয়ে মেনে নিতে নারাজ হলে ঘটনাটি আদালতে যায়। শেষ পর্যন্ত বিবাহ বিচ্ছেদ। এরপর মাঝে মধ্যে চলচ্চিত্র এবং এ জগতের বাইরের লোকজনকে জড়িয়ে পপির প্রেম-বিয়ের কথা বাতাস ভারি করলেও পপি থাকেন নিশ্চুপ। সম্প্রতি তার গ্রামের বাড়ি খুলনার এক বিবাহিত ডাক্তারের সঙ্গে পপির গোপন বিয়ের খবর জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু পপি বলছেন, এটি গুঞ্জন ছাড়া আর কিছুই নয়। ১৯৯৭ সালে অভিনয়ে আসেন পূর্ণিমা। তার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বিভিন্ন নির্মাতা ও অভিনেতার সঙ্গে প্রেম-বিয়ের খবর প্রকাশ হলেও তা হালে পানি পায়নি। এক সময় নায়ক রিয়াজ ও প্রয়াত মান্নাকে জড়িয়েও তার গোপন প্রেমের খবর আসে। অবশেষে ২০১০ সালে পূর্ণিমা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেন ২০০৭ সালে প্রেম করে গোপনে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আহমদ ফায়াদ জামিলকে বিয়ে করেছেন তিনি। ২০০৬ সালে বুলবুল জিলানীর হাত ধরে চলচ্চিত্রে আসেন রেসি। এ নির্মাতার 'নীল আঁচল' চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে দুজনে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। কিন্তু বেশি দিন স্থায়ী হয়নি তাদের সম্পর্ক। জিলানীকে বাদ দিয়ে এক মডেলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন রেসি। এই মডেলকেও অল্প সময়ে ত্যাগ করে এই নায়িকা প্রেমের তরী ভেড়ান ডিপজলের মনের ঘাটে। বিবাহিত এবং কয়েক সন্তানের জনক এ অভিনেতার প্রযোজনা সংস্থা এবং তার ঘরকে নিজের করে নেন রেসি। অগাধ সুখসমৃদ্ধির মধ্যে থেকেও রেসির উড়ু উড়ু মন ডানা মেলে চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীর ঘরে। ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমে পড়েন তারা। বিষয়টি জানতে পেরে ডিপজল ঘরছাড়া করেন রেসিকে। অতঃপর ওই যুবকই হয়ে পড়ে তার শেষ অবলম্বন। বিয়ে করে তারা এখন সংসারী।

নব্বই দশকের শেষ দিকে সাহারার চলচ্চিত্রে আগমন। শুরু থেকেই তাকে ঘিরে নানা জনের সঙ্গে নানা সম্পর্কের কথা চাউর হয়। অবশেষে চলতি বছরের প্রথম দিকে মনির নামে এক চিত্র প্রযোজককে গোপনে বিয়ে করে চলচ্চিত্র জগৎ ত্যাগ করেন এই অভিনেত্রী।

২০১০ সালে চলচ্চিত্রে আসেন আঁচল। ক্যারিয়ারের চেয়ে প্রেম-ভালোবাসার প্রতিই বেশি দুর্বলতা ছিল তার। অনেকের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা প্রকাশ হলেও শেষ পর্যন্ত জুয়েল নামের এক চিত্র প্রযোজককে গোপনে বিয়ে করেন তিনি। ১২.১২.১২ তারিখে তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। আঁচলের বিয়ে নিয়ে তার ক্ষিপ্ত মায়ের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ১৪.৪.১৩-তে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।

২০১০ সালে মুক্তি পায় ইফতেখার চৌধুরীর 'খোজ দ্য সার্চ'। এতে দু'নায়িকার একজন ছিলেন ববি। এই চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে ইফতেখার ও ববি প্রেমে পড়েন এবং বিবাহিত এ নির্মাতা গোপনে ববিকে বিয়ে করেছেন বলেও বেশ কয়েকটি সূত্র দাবি করেছে।

সবমিলিয়ে ঢালিউডে গোপন প্রেম-বিয়ের খবরে সবচেয়ে বেশি ঝড় তুলেছেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। ২০০৭ সালে দুজন 'কোটি টাকার কাবিন' চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এখান থেকেই তাদের প্রেমের সূত্রপাত। অবস্থা এমন পর্যায়ে এসে ঠেকে যে, শাকিবের চলচ্চিত্র মানেই তাতে নায়িকা অপু বিশ্বাস। এমনও প্রচার রয়েছে নির্মাতাদের শাকিব সাফ জানিয়ে দিতেন অপু ছাড়া অভিনয় করবেন না। ফলশ্রুতিতে অপুর প্রায় ৭০ ছবির মধ্যে নব্বই ভাগেরই নায়ক শাকিব। বিষয়টি সম্প্রতি আরও খোলামেলা করেছেন শাকিব নিজেই। নিজের প্রযোজিত ছবি 'হিরো দ্য সুপার স্টার'-এ নায়িকা হিসেবে অপুকে নিয়েছেন তিনি।

চলচ্চিত্রকাররা বলছেন, প্রেম-বিয়ে অপরাধ নয়, এতে ক্যারিয়ারেরও কোনো ক্ষতি হয় না। এর সর্বশেষ প্রমাণ অভিনেত্রী মৌসুমী। বরং এসব খবর গোপন করলেই হিতেবিপরীত হয়। এতে নির্মাতা ও দর্শকের গ্রহণ যোগ্যতা হারান নায়িকারা। যা হয়েছে শাবনূরসহ অন্যদের বেলায়। সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

Subscribe by Email

Follow Updates Articles from This Blog via Email

No Comments

About